এই Voyager-1 স্পেস প্রোবটি বর্তমানে সৌরজগতের সীমানা পেরিয়ে মহাশূন্যে পরিভ্রমণ করছে। এটি মানুষের তৈরি প্রথম বস্তু, যা সৌরজগত ছাড়িয়ে এখনও নিয়মিত পৃথিবীতে তথ্য পাঠাচ্ছে। এতটাই দূরে পৌঁছেছে যে, ওখান থেকে একটি সংকেত পৃথিবীতে পৌঁছাতে ২২ ঘন্টার বেশি সময় লাগে।
বর্তমানে Voyager-1 পৃথিবী থেকে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মাইল (প্রায় ২৪ বিলিয়ন কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে লেগেছে ৪৭ বছরের বেশি সময়, যার গতি ছিলো ঘণ্টায় প্রায় ৬০,০০০ কিলোমিটার।
Voyager-1 যে দূরত্বে রয়েছে, সেটি হচ্ছে - “এক আলোক-দিন” (One Light-Day) - অর্থাৎ আলো ২৪ ঘন্টায় যতটা দূরত্ব অতিক্রম করে। অথচ এটি এক আলোকবর্ষ (One Light-Year) নয়।
এক আলোকবর্ষ পাড়ি দিতে হলে এই Voyager-1 কে এমন ৩৬৫ গুণ বেশি দূরত্ব যেতে হবে। অথচ আমাদের নিকটতম তারা "প্রক্সিমা সেঞ্চুরী", যার দূরত্ব প্রায় ৪.২৪ আলোকবর্ষ। এদিকে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি-তে আছে ১০০ বিলিয়ন এরও বেশি তারা। এবং এর বাইরে রয়েছে এমন বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি।
নিকটতম গ্যালাক্সি 'আন্ড্রোমিডা', যার দূরত্ব পৃথিবী থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ (২.৫ মিলিয়ন) আলোকবর্ষ। একবার চিন্তা করুন, মহাবিশ্ব কত বিশাল!
আমরা মানুষ কতটাই না ক্ষুদ্র এবং সীমিত। অথচ আল্লাহ তা'আলা এই বিশাল মহাবিশ্বের স্রষ্টা এবং একমাত্র মালিক। তিনি কোনো অংশীদার ছাড়া সবকিছুর নিয়ন্ত্রক।
“আল্লাহ সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সমস্ত কিছুর কর্মবিধায়ক।” - সূরা: আয-যুমার (৬২)
“তাঁর ব্যাপার তো এই যে, তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তিনি কেবল বলেন, ‘হও’; ফলে তা হয়ে যায়।” - সূরা: ইয়াসীন (৮২)
মানুষ এই সৌরজগতের সামান্য সীমা পেরোতে শতাব্দী পেরিয়ে দেয়। অথচ আল্লাহ এই সমস্ত কিছু একটি আদেশেই সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং আমরা যেন তাকে ভুলে না যাই। বিচার দিবসের মালিকের ভয় ও তাকওয়া অন্তরে ধারণ করি। কারণ একদিন আমাদের সকলকেই তার কাছে ফিরে যেতে হবে।
📝 তুষার আহমেদ
Rate This Article
Thanks for reading, মহাবিশ্ব কত বড়? (How Big Is the Universe?)! Stay blessed.