আমরা যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI এর ব্যবহার দেখি, মনে হয়, এটাই বুঝি মানুষের বিকল্প। কম্পিউটার কথা বলছে, ছবি এঁকে দিচ্ছে, গান লিখছে, আরও অনেক কিছু করছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই কাজগুলো করতে AI কতটুকু শক্তি ব্যয় করছে? আর আমরা মানুষেরা কতটুকু শক্তি ব্যয় করি?
আমাদের মস্তিষ্ক প্রতিদিন হাজারো সিদ্ধান্ত নেয়। যেমন: সকালে ঘুম থেকে উঠে সিদ্ধান্ত নিই কী খাবো। আবার রাস্তায় হেঁটে যেতে যেতে মুখ চিনে মানুষকে সালাম দেই। জটিল অঙ্ক করি, গল্প লিখি, দুঃখ-কষ্ট, ভালোবাসা অনুভব করি ইত্যাদি আরো অনেক কাজ করে থাকি।
মজার বিষয় হচ্ছে, এসব করতে আমাদের মস্তিষ্ক শুধু ১২–২০ ওয়াট শক্তি খরচ করে যা একটি সাধারণ ছোট বাল্বের সমান!
অন্যদিকে একটি বড় এআই মডেল (যেমন GPT) শুধু মানুষের মতো লেখা শিখতে কয়েক হাজার কম্পিউটার, একটি বিশাল ওয়্যারহাউস আর লাখ লাখ ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। আবার এগুলো’কে আলাদা করে শীতল করার জন্য কুলিং সিস্টেমও লাগে।
আমাদের মস্তিষ্ক আকারে ছোটো হলেও এমনভাবে কাজ করে যেন তার ভেতরে কোটি কোটি সুপার কম্পিউটার বসানো, আলহামদুলিল্লাহ।
AI - কিন্তু তার ঠিক উল্টো! AI এর একটি নির্দিষ্ট কাজ করতে অনেক কম্পিউটার আর বিদ্যুৎ লাগে। তবুও AI কেবল নির্দিষ্ট কাজ করতে পারে। জটিল চিন্তা, অনুভূতি, সৃজনশীলতা বা সহজ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা মানুষের মতো AI এর নেই।
আমরা যখন আয়নায় তাকাই, হয়তো ভাবি ‘আমি কিছুই না!’ কিন্তু আসলে আমাদের ভেতরে এমন এক বিস্ময়কর শক্তি আছে, যা কোনো যন্ত্রের পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়।
মহান আল্লাহ আমাদের এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে আমরা ছোট, কিন্তু ক্ষমতায় অসাধারণ।
আল্লাহ বলেন ‘অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি উত্তম আকৃতি ও পরিপূর্ণতায়।’ (সূরা ত্বীন, ৯৫:৪)
সুতরাং আমাদের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত নয় কি?
- Tushar Ahmed
Rate This Article
Thanks for reading, মানুষ বনাম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Human vs Artificial Intelligence)! Stay blessed.